গ্রামে থাকলে সাধারণত সময় ব্যস্ততায় কেটে যায়।আর সংসার জীবনে থাকলে তো আরও ব্যস্ত সময় অতিবাহিত হয়।যদি বাচ্চা থাকে তো সংসার সামলানোর পাশাপাশি বাচ্চাও দেখাশোনা করতে হয়।তাছাড়াও গ্রাম অঞ্চলে সকাল থেকে কাজ শুরু করতে রাত অবধি কাজ শেষ হতেই চায়না। বাবু হওয়ার পর থেকে আমি আমার বাবার বাড়িতে গ্রামেই আছি। আমার সারাটাদিন বাবুর সেবা যত্নের প্রতি বেশি নজর দিতে হয়।যেহেতু আমার বাবু এখনও ছোট তাই বেশি যত্ন আমাকেই করতে হয়।বাবার বাড়িতে থাকলেও সংসারের টুকিটাকি কাজগুলোতে আমার মায়ের সাথে সহায়তা করতে হয়।আজ বুধবার। আজকের এই দিনটিতে আমাদের একটি গরু জবাই করে মাংস গরিব ও অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
সত্যি কথা বলতে গরুটা কুরবানি করার মাধ্যমে গরীব দুঃখীদের মাঝে দেওয়া হয়েছে।প্রায় ১ বছর পূর্বে আমাদের গোয়াল ঘরে মশা তাড়ানোর জন্য রাতের বেলা কয়েল জ্বালিয়ে দিয়েছিল আমার বাবা। কিন্তু দূর্ঘটনাবশত কয়েলের আগুন গরুর ঘরে লেগেছিল।তারপর সেখান থেকেই আমাদের একটি গরুর বেশির ভাগ শরীর পুড়ে যায়। তারপর থেকে গরুটির পোড়াক্ষত সারানোর জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।কিন্তু এই অবলা প্রাণীটির এমন অবস্থা হয়েছিল যে বাঁচার মতো পরিস্থিতি ছিল না।সর্বশেষে আমার বাবা গরুটি কুরবানি করে গরীব ও অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণ করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়।তারপর থেকে গরুটি চিকিৎসার মাধ্যমে ভাল হতে থাকে।এক সময় ভাল হয়ে যায়।
তাই গরুটি আজ কুরবানি করা হলো। তাই সকাল থেকেই আমরা পরিবারের সকলেই ব্যস্ততা সময় অতিবাহিত করছি। সকালেই গরুটি কুরবানি করা হয় এবং মাংস তিন ভাগ করে এক ভাগ গরীব দুঃখীদের মাঝে দেওয়া হয়েছে,এক ভাগ আত্মীয় স্বজনদের মাঝে দেওয়া হয়েছে ও এক ভাগ নিজেদের জন্য রাখা হয়েছে। আবার নিজেদের ভাগের মাংসগুলো রান্না করে গরীব দুঃখী মানুষ সহ প্রতিবেশীদের খাওয়ানো হলো।তাই মূলত আজকের সময়টি খুবই ব্যস্ত সময় অতিবাহিত হলো।
তবে কুরবানি যেহেতু মুসলমানদের ওপর ওয়াজিব, তাই আজকের এই ওয়াজিব কাজটি ভালোই ভালোই অতিবাহিত হলো।তাই আজকের সময়টি ব্যস্ততায় কাটানো হলেও আনন্দ লাগছে। আমি মনে করি কুরবানি এভাবে সুসম্পন্ন হওয়ার সব মুসলমানদের মনেই আনন্দ অনুভূত হয়।