বর্জিত হবার আগেই বর্জন করার প্রবণতা থাকাটা কি অবস্থার সঠিক সমাধান কিনা মাঝেমাঝে ভাবি। মাঝেমাঝে মনে হয়, আরেকটু কি অপেক্ষা করা উচিৎ? উচিৎ আরেকটু সময় দেয়া সেটা বিফলে যাবার সম্ভাবনা থাকলেও? উচিৎ কি দ্বিতীয় সুযোগ দেয়া? ওভাবে নির্দ্বিধায় মাড়িয়ে চলে যাবার পরও আবার কি উচিৎ ফিরে এলে সাদরে গ্রহণ করা?
প্রশ্নগুলোর জবাব বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই "না উচিৎ নয়" হলেও, "অমন নাওতো হতে পারে"র উত্তরবিহীন আঁচ থেকে যায়, যার উত্তর "না উচিৎ নয়" বলে অজ্ঞাত থেকে যায়, জানা হয় না হলে কি হতো।
এই অভ্যেসটি যাদের মাঝে আছে, সেটা কিন্তু একেবারেই আদি প্রবৃত্তি থেকে সৃষ্ট নয়, বরং সময়ের সাথে বিভিন্ন জাগতিক ঘটনার প্রভাব থেকে ধীরলয়ে এই প্রবৃত্তি গড়ে ওঠে, এমনকি অনেক সময় নিজেদের অজান্তেই। এবং একবার এর নিরাপদ ছায়ার সন্ধান পেলে, কোনো এক একান্ত অনভ্যাসে অবহেলায় গড়ে ওঠা এই স্বভাব পরবর্তীতে প্রবৃত্তি হয়ে উঠে, হয়ে ওঠে পরম আশ্রয়ের কেন্দ্র।
খুব তাড়াতাড়ি স্থান, কাল, পাত্রের পরিবর্তন করতে পারেনা যারা, সাধারণত তারাই এই প্রবৃত্তিতে নিপাতিত।
এবং অনেকে এটাকে "এস্কেপিজম"এর একটা ধাপ অবিহিত করলেও (যেটাকে আসলে যৌক্তিক উপায় বলে স্বীকৃতি দিতে নারাজ অনেকে), আমি মনে করি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সিম্পলি এড়িয়ে যেয়ে, ছেড়ে যেয়ে ভালো থাকলে, তাই করা উচিত।
যদিও এখন মানসিক শান্তি, স্বাস্থ্য নিয়ে মানুষ অনেক সচেতন কিন্তু টক্সিক-সম্পর্কের টানাপোড়নে এখনো আটকে থাকার জন্য তড়িৎ সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারটা সহজ আসেনাই। যেটার মেজর কারণ সম্ভবত মানুষ এখনো "সলিটিউড" এর সাথে একাত্মতাবোধ বা সমঝোতায় যেতে পারে নাই।
শুরুর দিকে এই "এড়িয়ে যেয়ে" বা "এস্কেপিজম"এর মাধ্যমে নেগেটিভ ইমোশনকে চ্যানেল করাটাই মূলতঃ উদ্দেশ্য ছিল। এতে দেখা যেত, সেটা আপাত সময়ে এড়িয়ে গেলেও একটা লেপ্টে থাকা দাগ রয়েই যেত, কারণ পরিপূর্ণভাবে কোনো সমাধান হতোনা সেই উপায়ে।
এখন এটাকে কগনিটিভ বিহেভিয়ার প্যাটার্নের মাঝে পেয়ে বেশ অভিনবভাবে এক্সিস্টিং উপায়টাকে থেরাপিউটিক পদ্ধতিতে হিলিংয়ের জন্য কাজে লাগানোর ব্যাপারটা আবিষ্কার করেই বেশ পুলকিত হলাম।
এক্ষেত্রে আপনি ওই একই কাজ একই কাজ করছেন, ছেড়ে যাবার ব্যাপারে, কিন্তু পার্থ্যক হচ্ছে এখানে আপনার সেই "lingering emotion" আর থাকছেনা, যেটা মাঝেমধ্যে সেলফ-এস্টিম ধরে টানাটানি করবে। একদম যাকে বলে প্রপারলি আপনার heart & soul cleansing হয়ে যাচ্ছে।
এই স্বাস্থ্যকর এপ্রোচটা, যেটাকে মনোবিজ্ঞান বলছে Detachment.
এই ডিটাচমেন্ট-এর ব্যাপারে বিস্তারিত বলবো কাল।
All the contents are mine, until mentioned otherwise.