মেয়েদের নিজের বাড়ি হয়না এই কথাটি হয়তো প্রায় সকল মেয়েই জীবনে একবার হলেও শুনেছে , যে শুনেনি সে হয়তো উপলব্ধি করেছে । পাঁচ বছর আগে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম পড়ালেখার উদ্যেশ্যে , মাঝে মাঝেই বাসায় যাওয়া হয় তবে বাসায় গিয়ে সুটকেসটা আর কখনও খালি হয়না । ভর্তি থাকে জামাকাপড় দিয়ে আর ইঙ্গিত দিয়ে যায় বাসার সদস্য থেকে মেহমান হয়ে যাওয়ার ।
মেয়ে মানুষের নিজের বাড়ি হয়না এটা হয়তো বেকার পঁচিশ চব্বিশ বছরের সব মেয়েই টের পেয়ে যায় । মাথাতে ভরপুর স্বপ্ন , বাসা থেকে বিয়ের জন্য অজস্র চাপ আর বেকার প্রেমিককে হারিয়ে ফেলার ভয় ....এই অনুভূতি কেবল মেয়েরাই বুঝতে পারে। স্বপ্ন ছুঁই ছুঁই সময়ে স্বপ্ন থেকে দূরে ছিটকে পরে যাওয়ার কষ্ট , বাবা মায়ের চোখে অবাধ্য সন্তানের খ্যাতি পেয়ে যাওয়া নাকি ভালোবাসার মানুষকে মানসিক চাপ দেয়ার কষ্টের মধ্যে কোন দুঃখটার ক্ষত বেশি টি পঁচিশ বছর বয়সী মেয়েদের হিসাবে আসেনা , এরা জীবনের হিসেবে অনেক কাঁচা ।
ছোট্ট থেকে দেখে আসা স্বপ্নকে হত্যা করে পরিবারের বাঁকা কথা মেনে নিয়ে হয় প্রিয় মানুষকে হারাতে হয় নয়তো প্রিয় মানুষকে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে করতে পরিবারের তুচ্ছ তাচ্ছিল্লতা মেনে নিতে নিতে এক কালে পরিবার হারাতে হয় । যে দিকেই যাওয়া হোক পরাজয় মেয়েরই হয় !
মনে একজনকে রেখে পারিবারিক চাপে অন্যের পরিবারের সামনে সেজে সরবতের গ্লাস নিয়ে যাওয়া মেয়েমানুষ টের পায় তারা কতটা সাধারণ । পরিবারের কথা না শুনলে অনেককেই শুনতে হয় " জন্ম দেয়াই ভুল " , প্রিয় মানুষ বলে যাবে " ভেবে চিনতে প্রেমে জড়ানো উচিত ছিল " ...আর মেয়ের স্বপ্ন ? তা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে চাপা পরে যায় গহীন এক কর্নারে ।
সকলের গল্প আলাদা আলাদা হয় তবে যাদের গল্প এমন করুন হয় তারা উদ্বাস্তুর থেকেও নিম্ন স্তরে বেঁচে থাকে । এরা হাসতে ভুলে যায় অথচ মরে যায়না ...এরা বেঁচে থাকে , হয় পরিবার নয়তো ভালোবাসার কাছে ধোঁকাবাজ হয়ে ....কারো না কারোর গল্পের খলনায়ক হয়ে । এরা লাশ হয়ে যায়না তবে এরা বেঁচেও থাকেনা .....মেয়েদের নাকি ঘর হয়না , এদের হয় কবর !