আসসালামু আলাইকুম আসা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও ভালো আছি। আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো মাকড়সার জাল রহস্য!
মাকড়সার জাল রহস্য!
হযরত মুহাম্মদ (সা.) একবার মক্কা থেকে মদিনা যাচ্ছিলেন।তখন আততায়ীদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি পাহাড়ের এক গুহার মধ্যে আশ্রয় নেন। কিছুক্সণের মধ্যেই গুহার মুখে মাকড়সার জাল বুনে সে গুহার মুখ বন্ধ করে দেয়। আততায়ীরা যখন সেখানে উপস্থিত হয় তখন তারা দেখতে পায় গুহার প্রবেশপথে মাকড়সার জাল বিস্তৃত হয়ে আছে। তারা এ দেখে নিশ্চিত হয় যে, দু'একদিনের মধ্যে হয়তো এ গুহার মধ্যে কেউ প্রবেশ করেনি। এই ভেবে তারা চলে যায় এবং তিনিও প্রাণে বেঁচে যান। সাধারণ একটা মাকড়সার জাল-ই কিন্তু সেদিন এক মহামানবের প্রাণ বাঁচানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছিল। এ জালের যে অন্য রকম এক মহাশক্তি আছে তার প্রমাণ পাওয়া যায় স্কটল্যান্ডের অধিপতি রবাট ব্রুসের রাজ্য পুনরুদ্ধারের কাহিনী থেকে। শত্রুর হাতে তিনি যখন বারবার পরাজিত হয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন,তখন এক ক্ষুদ্র মাকড়সার বারবার ছিঁড়ে যাওয়া জাল নতুন করে বোনার সফলতা থেকে তিনি পেয়েছিলেন অধ্যবসায়ের শিক্ষা। অবশেষে তিনি শত্রুর হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে সক্ষম হন। কি রহস্য লুকিয়ে ছিল সে জালে? একটি ক্ষুদ্র প্রাণী মাকড়সা কি শিখিয়েছিল রাজাকে?
মাকড়সা কী পোকা?
মাকড়সা আদৌ কোনো পোকা নয়! পোকাদের থাকে ছয় পা, দেহ মাথা, ধড় আর পেট এই তিন অংশে বিভক্ত। কিন্তু মাকড়সার থাকে আট পা। দেহ প্রধানত মাথা আর পেট এই দুই অংশে বিভক্ত। এ দু’টি অংশ খুব সূক্ষ্ম অংশ দ্বারা যুক্ত থাকে। তাছাড়া মাকড়সাদের পোকার মত কোনো পাখা নেই, তাই ওরা উড়তে পারেনা। অবশ্য অনেক পোকারই পাখা থাকে অথবা থাকেও না। বিশেষ করে পোকার বাচ্চাদের। তবে মাকড়সার মতো পোকারা জাল বুনতে পারে না। তাই বলে ভাবা যাবে না যে সব মাকড়সাই জাল বুনতে জানে।
জাল বোনার রহস্য কী?
মাকড়সার জাল বোনাও একটা বিশাল মুন্সিয়ানার কাজ। সব মাকড়সারই স্পিনিং বা তাঁত গ্রন্থি আছে। মাকড়সা তা দিয়ে সুতা তৈরি ও সে সুতা দিয়ে জাল বোনে। স্পিনিং গ্রন্থি থেকে এক ধরনের নিঃসৃত পদার্থ থেকে রেশম তৈরি হয়। যদিও বিভিন্ন মাকড়সার স্পিনিং গ্রন্থি থেকে বিভিন্ন রকম সুতা উৎপন্ন হয়, তবু সব রেশমই প্রোটিন সমৃদ্ধ ও সুতার মতো। স্পিনিং গ্রন্থির মধ্যে রেশম রস থাকে পানিতে দ্রবণীয় তরল আকারে। কিন্তু যখনই তা বাইরে আসে বা সুতা তৈরি হয়ে যায় তখন তা পানিতে অদ্রবণীয় শক্ত পদার্থে পরিণত হয়। এই রেশম সুতাকে অনেকটা সূক্ষ্ম নাইলন সুতার সঙ্গে তুলনা করা যায়। মাকড়সার এ রেশমি সুতা প্রধানত কিছু এমাইনো এসিড সমৃদ্ধ প্রোটিন উপাদান দ্বারা গঠিত। বিশেষত ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ উপাদানই থাকে এলালিন, গ্লাইসিন, সেরিন ইত্যাদি এমাইনো এসিড। জাল বা সুতা তৈরি এজন্য মাকড়সার পেটের শেষ প্রান্তে তিন জোড়া স্পিনারেট থাকে। অগ্রবর্তী, মধ্যবর্তী ও পশ্চাদবর্তী স্পিনারেট। এগুলো অত্যন্ত সঞ্চালন ক্ষমতাসম্পন্ন। স্পিনিং গ্রন্থি থেকে এসব স্পিনারেটের মাধ্যমে রস নিঃসৃত হয়ে সুতা তৈরি হয়।
Category | Flower Photography |
---|---|
Location | Bangladesh |
w3w | https://w3w.co/crumbly.gardens.against |
Camera used | Samsung Galaxy a10s |
Photographer | @hossain01 |
Thanks all.
@hossain01